রাতের আলপনা
রাতকে যাপন করি উল্লাসে ও আনন্দে
রাতকে যাপন করি অসীম সম্ভাবনায়;
এক একটি রাত আসে সুনসান নীরবতায়
এক একটি রাত যেন সুনিপুন সৃজনে-
কেটে যায় রচনা করে নিজস্ব আয়নায়
তোমার প্রিয়মুখ মুখচ্ছবি রঙানো;
তোমার সব কিছু সাজানো গোছানো-
রাতগুলো তাই নিসঙ্গ তরপায় বেদনায় ।
ঝিঁ ঝিঁ পোকারা আমাকে চেনে
চেনে মেয়ে মৌ মাছি আর কাটপোকা;
ওদের চিৎকারে আমার ধ্যান ভাঙ্গে
নিত্যদিন টিকটিটির সঙ্গমে ভেবাচেকা।
বায়স ফিঙ্গে আমাকে চেনে ,
চেনে খুনসুটিতে ব্যস্ত যমজ গুই সাপও ;
প্রতিদিন ভুল করে ঢুকে আমার বেড রুমে
ওর কী সাধ জাগে আমাদের রঙ্গম দেখা ?
রাতগুলো তাই নিরালা নিরালা –
জাগি আমি, তুমি ঘুমো- এতো কবিতা চাকা।
হৃদয়পুর
রিদয়পুরের সাহিত্য আড্ডা
ব্যানারে লেখা আছে – ২৮-২৯ আগস্ট-২০১৪
কী অদ্ভুত শুরুতে লেখা – প্রতিপক্ষ!
এমন ধবল করে কেউ বিনয়ী বিরোধী হয়?
নিজ থেকে জানিয়ে দেয়া- আমি তোমার প্রতিপক্ষ।
ফরহাদ ভাই কী যেন বুঝাচ্ছেন- একটি ছবিতে,
মুচকি হাসি রাফানের – অন্য ছবিতে।
গৌতম দা মনে হয় ব্রিক নিয়ে ব্যস্ত- আঙ্গুল তোলা আছে;
বিশ্বব্যাংক না চয়না ব্যাংক- যতসব অর্থ অনর্থ;
এই ফাঁকে কেউ কেউ চা তে চুমুক ।
আমি প্রবল ভাবে দেখে আছি ঝুটি ,
ফরহাদ ভাই কীভাবে রেখেছে বেঁধে এতোটা সময়?
কী সমাজ ভাঙ্গবো আমি ? শুধু বিয়ের কারনে-
বিসর্জন দিলাম পরম চুলগলো নরসুন্দরের কাছে।
ফেইস বুকে ছবিগুলো দেখে দেখে হঠাৎ
আটকে গেলো চোখ, দুটো চোখ কী গভীর গভীর,
যেন ঠিকরে পড়ছে পরম প্রতিভা-
এমন ঝলসানো আলো দেখিনি আর,
চোখ তার মেধার ঝলসানো আলো, চুল তার বনলতা সেন-
ফরহাদ ভাইয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে কী চরম বিষন্নতায়
তাকিয়ে আছে আমার ক্যামেরা চোখে;
রাফান! এ ভরা জলসায় তুমি কী মান্যবর গালিব?
০৩.০৮.২০১৫
অধরা মাধুরী
কোথায় দেখেছি প্রথম তোকে-
সেই লেংটো বেলায় জামা ফ্রক তিড়িং বিড়িং,
বেলা যায় বেলা বাড়ে , মহাকাল করে যায় হীম;
সে গভীর গহীন থেকে উঠে আসে ফড়িং ফড়িং।
মোটা ভ্রূ বেটপ চোখ গরুকে হার মানা –
তোকে খোঁচাতে আমার , কী গভীর হওয়া আনমনা!
নিত্য খুনশুটি – রিমোটের বাটন চেইঞ্জ-
এ নিয়ে হূলুস্তুল দাপাদাপি আমি আর তুই;
ফাগুনের বইমেলা, বৈশাখের মেলা যাইরে…
হাহ হা কী যাপন ! যদ্দুর তোকে পাইরে…
তবুও অধরা তবুও মাধুরী তবুও আমারই দীক্ষিত
তোকে পাওয়ার লোভে রচিত সব প্রেক্ষিত ।
অধরা মাধুরী তুই- অধরাই সই-
নিত্য তিড়িং তিড়িং, আসা জীবন ফড়িং।
০২.০৮.২০১৫
পর্যটন
তুমি তো জানালায় না চিহ্ন এঁটে দিয়েছো-
অনেক দিন তোমার কোনো তথ্য জানিনা।
ইথারে যখন ভেসে আসতো এক একটি ছবি কিংবা গান
কি উজাড় করে দেখেছি সে সব, শুনেছি সে মায়ামন্ত্র মন্ত্রণা।
অথচ তোমার সুনসান গোছানো সংসারে , যেনো না হয় ছন্দ পতন,
বিড়ালের পা ফেলে নীরবে দূরে থাকি , না দিয়ে তোমাকে যন্ত্রণা ।
হাওয়ায় হাসি খেলি , হাওয়ায় ভাসায় মুগ্ধতার ভেলা নৌকা
কীভাবে টের পেলে আমার এ ইথার পযর্টন টোকা ।
তোমার কী জেগেছে কোনো ভুতুরে জ্ঞান ?
না কী তুমিও জেগো আছো প্রানহীন প্রান?
অথচ কাল রাত সারা রাত জেগেছি আমি,
বাম পাশে শুয়ে ছিলে মায়াহীনা তুমি।
২৫.০৭.২০১৫
ভুলা না ভুলা
মাথায় বিলি কাটতে কাটতে বলে ফেললে-
বিয়েটা শেষ পযর্ন্ত করেই ফেললে ।
অথচ তোমার একটি মাত্র হ্যা শব্দ শোনার জন্য
আমি কতবার হাই লেবেল রোড ধরে হেঁটে গেছি,
প্রিয় এ্যালপার লেপের চকলেট কিনতে গেলে
দোকানি বুঝে যেতো আমার মুগ্ধতা-
তোমার না , চকলেটের সে দ্বিধা আজও আমার আছে;
অথচ বাড়তি চকলেটগুলো আজও আমি রেখে দি
তুমি আজও আমার চুলে বিলি কাটছো কাটছো
চৌদ্দোটা বছর চলে গেলো আমরা স্মৃতিতে হারায়
প্রিয় প্রসঙ্গ এলে ভুলে যায় দীপান্তরের দূরত্বের কথা –
এইতো মনে হয় তুমি বলছো –
বিয়েটা করেই ফেললে?
অথচ তুমিতো জানো আমি ভনিতা জানিনা,
প্রস্তাবটা দিয়ে নির্দ্বিধায় বলে ফেললাম-
তুমি নাও বলতে পারো , আমি নির্বিগ্নে ভুলে যাবো।
জীবনে এই একবার মিথ্যা বলেছিলাম-
কই তোমাকে ভুলার কষ্ট আজো আমাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
৩০ মে ২০১৫